কেন্দ্রীয় তহবিল (আরএমজি সেক্টর)
রুপকল্প
শতভাগ রপ্তানিমুখী শিল্প সেক্টরে কর্মরত শ্রমিক ও শ্রমিকের পরিবারের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন।
অভিলক্ষ্য
সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্রীয় তহবিলে মোট রপ্তানিমূল্যের ০.০৩% প্রদান নিশ্চিত করে সকল অঞ্চল ও স্তরের রপ্তানিমুখী প্রাতিষ্ঠানিক শ্রমিক ও শ্রমিকের পরিবারকে কেন্দ্রীয় তহবিল-এর সেবার আওতায় আনা।
কৌশলগত উদ্দেশ্য সমূহ
১। শ্রমিক ও শ্রমিকের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ;
২। শ্রমিকের স্বাস্থ চিকিৎসা নিশ্চিতকরণে ভূমিকা রাখা;
৩। শ্রমিকের মেধাবী সন্তানের লেখাপড়ায় আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মেধা বিকাশে ভূমিকা রাখা।
৪। কর্মরত অবস্থায় দুর্ঘটনায় কোন শ্রমিকের মৃত্যু ঘটলে অথবা স্বাভাবিক মৃত্যু ঘটলে তার পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান।
কেন্দ্রীয় তহবিলের পরিচিতি
শতভাগ রপ্তানিমুখী শিল্প সেক্টরের জন্য বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬-এর ২৩২(৩) ধারার বিধান অনুযায়ী এ মন্ত্রণালয়ের আওতায় ‘কেন্দ্রীয় তহবিল’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। উক্ত তহবিল পরিচালনার জন্য একটি পরিচালনা বোর্ড ও গঠন করা হয়েছে।
পরিচালনা বোর্ডের গঠন
বাংলাদেশ শ্রমবিধিমালা, ২০১৫-এর বিধি ২১৮ অনুযায়ী নিম্নোক্ত সদস্যবৃন্দের সমন্বয়ে পরিচালনা বোর্ড গঠিত :
১. শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী - চেয়ারম্যান
২. শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব - ভাইস চেয়ারম্যান
৩.বিজিএমইএ সভাপতি - ভাইস চেয়ারম্যান
৪. বিকেএমইএ সভাপতি- ভাইস চেয়ারম্যান
৫.. শ্রমিক সংগঠন থেকে মনোনীত ১ জন- ভাইস চেয়ারম্যান
৬. মহাপরিদর্শক, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর- সদস্য
৭. মহাপরিচালক, শ্রম অধিদপ্তর- সদস্য
৮. বিজিএমইএ থেকে মনোনীত ২ জন - সদস্য
৯. বিকেএমইএ থেকে মনোনীত ১ জন- সদস্য
১০. মহাসচিব ও সিইও, বাংলাদেশ এমল্পয়ার্স ফেডারেশন- সদস্য
১১. শ্রমিক সংগঠন থেকে মনোনীত ৫ জন- সদস্য
১২. কেন্দ্রীয় তহবিল-এর মহাপরিচালক - সদস্য সচিব
তহবিলের অর্থের উৎস
শ্রম বিধিমালা অনুযায়ী ‘কেন্দ্রীয় তহবিল’-এর অর্থের উৎস সমূহ নিম্নরূপ -
(ক) শতভাগ রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি কার্যাদেশের বিপরীতে প্রাপ্ত মোট অর্থের ০.০৩%;
(খ) কার্যাদেশ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের স্বেচ্ছা অনুদান;
(গ) সরকার কর্তৃক প্রদত্ত স্বেচ্ছা অনুদান;
(ঘ) দেশি-বিদেশি কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক স্বেচ্ছা অনুদান; এবং
(ঙ) তহবিলের অর্থ বিনিয়োগ হতে প্রাপ্ত মুনাফা।
‘কেন্দ্রীয় তহবিল’-এর অর্থের ব্যবহার
কেন্দ্রীয় তহবিল-এর অধীন
‘কেন্দ্রীয় তহবিল’-এ প্রাপ্ত মোট অর্থের শতকরা ৫০ (পঞ্চাশ) ভাগ ‘সুবিধাভোগী কল্যাণ হিসাব’ এবং অবশিষ্ট শতকরা ৫০ (পঞ্চাশ) ভাগ ‘আপদকালীন হিসাব’-এ জমা হয়।
‘সুবিধাভোগী কল্যাণ হিসাব’ হতে আর্থিক সহায়তা/অনুদান প্রদানের ক্ষেত্রসমূহ-
১. কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনাজনিত কারণে অথবা পেশাগত রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করলে অথবা পরবর্তীতে মৃত্যু ঘটলে অথবা কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনাজনিত কারণে অথবা পেশাগত রোগে আক্রান্ত হয়ে স্থায়ী অক্ষমতা ঘটলে সংশ্লিষ্ট সুবিধাভোগী বা তার উপযুক্ত উত্তরাধিকারী ও পোষ্যকে ২,০০,০০০/- (দুইলক্ষ) টাকা অনুদান প্রদান;
২. কোন সুবিধাভোগী চাকরিরত অবস্থায় অসুস্থ হয়ে বা কর্মক্ষেত্রের বাইরে কোন দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ অথবা স্থায়ীভাবে অক্ষম হয়ে গেলে তিনি বা তার উপযুক্ত উত্তরাধিকারীকে ২,০০,০০০/- (দুইলক্ষ) টাকা অনুদান প্রদান;
৩. কোন সুবিধাভোগী কর্মকালীন দুর্ঘটনায় পতিত হয়ে তার কোন অঙ্গহানি ঘটলে যা স্থায়ী অক্ষমতার কারণ না হলে তাকে অনধিক ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা অনুদান প্রদান; এবং
৪. এছাড়া, অসুস্থ সুবিধাভোগীদের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান, পরিবারের মেধাবী সদস্যকে শিক্ষার জন্য বৃত্তিপ্রদান, সামাজিক নিরাপত্তামূলক সুবিধা হিসেবে বিশেষায়িত হাসপাতাল স্থাপন এবং বাংলাদেশ শ্রম আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে অন্য যে কোন কার্য সম্পাদন।
‘আপদকালীন হিসাব’ হতে অনুদান প্রদান-
১. কোন কারখানা বা প্রতিষ্ঠান স্থানান্তর বা স্থায়ীভাবে বন্ধ হলে বোর্ড কর্তৃক সুবিধাভোগীদের পাওনা অর্থের সমুদয় বা আংশিক পরিশোধ;
২. সুবিধাভোগীদের গ্রুপ বীমার বাৎসরিক প্রিমিয়ামের অর্থ প্রদান; এবং
৩. সুবিধাভোগীদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণের জন্য স্বাস্থ্য বীমা চালুকরণ।
এমপ্লয়মেন্ট ইনজুরি স্কীম (ইআইএস)
কেন্দ্রীয় তহবিলের আওতায় কোনো শ্রমিক কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরন করলে অথবা শারিরিক ভাবে অক্ষম হয়ে গেলে সেই শ্রমিক ও তার উত্তরাধিকারিদের মাসিক ভিত্তিতে অর্থ প্রদান।